🔹স্ত্রী থাকা অবস্থায় একজন মুসলিম পুরুষ একজন হিন্দু মহিলাকে বিয়ে করেছে,
🔹 বিবাহ বিচ্ছেদের ত্রিশ দিনের মধ্যে একজন মুসলিম নারী পুনরায় বিয়ে করেছে।
🔹 প্রাপ্তবয়স্ক মুসলিম নারী ও পুরুষ কাবিননামা ব্যতীত বিয়ের পর ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে এফিডেভিট দ্বারা বিয়ে ঘােষণা দিয়াছে।
🔹 চার বছর যাবৎ একজন মুসলিম নারী তার স্বামীর খোঁজ পায়নি।⤵️
⭕স্ত্রী থাকাবস্থায় একজন মুসলিম পুরুষ একজন হিন্দু মহিলাকে বিয়ে করেছেনঃ
🔹মুসলিম আইনের বিধান অনুযায়ী একজন মুসলিম পুরুষ একজন মুসলিম নারীকে বিয়ে করতে পারে, কিন্তু কোন পুতুল পূজারি বা অগ্নি উপাসককে বিয়ে করতে পারেনা। তাই হিন্দু রমণীকে বিয়ে করা নিষেধ, তবে অবৈধ নয়, অনিয়মিত মাত্র (Ishar Vs Parinal Lal ।
Pat 6)
⚫ বিবাহ বিচ্ছেদের ত্রিশ দিনের মধ্যে একজন মুসলিম নারী পুরনার বিয়ে করেছঃ
🔹বিবাহ বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে কোনাে মহিলাকে ইদ্দত পালনের পর পুনরায় বিবাহ প্রতে হয় ।
🔸 এইক্ষেত্রে মহিলাটি ইদ্দত পালনরত অবস্থায় বিয়ে করেছেন বিধায় তা বৈধ হতে পারেনা তালাকের ক্ষেত্রে ইদ্দতের সময় তিন ঋতু কাল স্বামীর মৃত্যুর পর চার মাস দশ দিন এবং গর্ভবতী থাকলে সন্তান জন্ম পর্যন্ত ইদ্দতকাল ।
🟣প্রাপ্তবয়স্ক মুসলিম নারী ও পুরু কাবিননামা ব্যতীত বিয়ের পর ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে এফিডেভিট দ্বারা বিয়ে ঘোষণা দিয়েছেঃ
⚪বিয়ে হচ্ছে ধর্মীয় ও সামাজিক বন্ধন। মুসলিম বিয়ে একটি দেওয়ানি চুক্তি। যৌন সঙ্গম, সন্তান জন্মদান ও তাদের বৈধতা দানের জন্য সামাজিক ও ধর্মীয়ভাবে বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
⚫পূর্বে এইক্ষেত্রে বিয়ে রেজিস্ট্রেশনের কোনাে বিধান ছিল না। কাবিননামার বিধান পরবর্তীতে হয়েছে।এবং এর বিধান কেউ ভঙ্গ করলে উহা দণ্ডনীয় অপরাধ। তবে বিয়ে ধর্মীয় ও সামাজিক বিধান মতে হাওয়ায় তা অবৈধ হবে না।
➡️ কাবিননামা না করলে ১৯৭৪ সালের মুসলিম বিবাহ ও।তালাক রেজিস্ট্রেশন আইনের বিধানানুসারে তিনমাস পর্যন্ত বিনাশ্রম কারাদণ্ড অথবা একহাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড বা উভয় প্রকার দণ্ডে দণ্ডনীয় হবে। এফিডেভিট রেজিস্ট্রেশন বা কাবিননামার অংশ নয়, তবে বিয়ের সত্যতা প্রতিদানের জন্য একটি দলিল মাত্র।
➡️চার বছর যাবৎ একজন মুসলিম নারী তার স্বামীর খোঁজখবর পায়নি :
🔹মুসলিম নারী চার বছর যাবৎ স্বামীর খোঁজখবর না পেলে ১৯৩৯ সালের মুসলিম বিবাহ বিচ্ছেদ আইনানুসারে বিবাহ বিচ্ছেদের মােকদ্দমা দায়ের করে তিনি বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে পারেন। তবে ডিক্রি প্রাপ্তির ছয় মাসের মধ্যে স্বামী হাজির হয়ে স্ত্রীয় দায়িত্ব নিতে চাইলে আদালত ডিক্রি বাতিল করে দিবেন।