🔹করমুক্ত আয় : যে আয়কে কর হতে মুক্ত রাখা হয় তাকে করমুক্ত আয় বলে।

🔴অর্থাৎ এই আয়ের উপর কোনাে কর ধার্য করা হয় না। তবে করমুক্ত আয় মােট আয় নির্ণয়ের উদ্দেশ্যে অন্যান্য আয়ের সাথে যুক্ত হয় এবং মােট আয় হতে কোনাে সময় বাদ যায় না।

⭕করমুক্ত আয়ের উপর মােট আয় ও মােট করের অনুপাত হারে কর রেহাই দেয়া হয়। করমুক্ত আয় করদাতা করযােগ্য আয়ের অন্তর্ভুক্ত থাকে এবং করদাতা গড় হারে কর রেহাই পেয়ে থাকে।

🔴উপযুক্ত আইন হতে দেখা যায় যে, করমুক্ত আয়কে কর হতে মুক্ত রাখার কথা বলা
হলেও একেবারে মুক্ত হয় না।

🔹 কারণ মােট আয়ের সাথে যুক্ত হলে করের হার বেড়ে যায় এবং গড় হারে রেহাই দিলে পরােক্ষভাবে উক্ত আয়ের উপরও পরােক্ষভাবে কর চলে আসে। বিশেষ ভাতা আনুতােষিক পেশন, প্রভিডেন্ট ফান্ড, ওয়ার্কাস পার্টিসিপেশন ফান্ড, মিউচুয়াল ফান্ড,২৫,০০০ টাকা পর্যন্ত, সরকারি নিরাপত্তাজনিত সুদ, হস্তশিল্প দ্রব্যাদি রপ্তানি হতে আয়,
বাংলাদেশের বাইরে উদ্ভূত আয়, সঞ্চয়ী পেনসন স্কীম, জিরাে কুপন বন্ড হতে উদ্ভূত আয়,
রপ্তানি ব্যবসা হতে প্রাপ্ত আয়ের ৫০% পাহাড়ী অধিবাসী দ্বারা এই জেলাগুলােতে অর্থনৈতিক
কর্মাকণ্ডের আয় ইত্যাদি ব্যক্তি করদাতার করমুক্ত আয়।

🔹আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ৪৪(২)(বি) ধারা অনুযায়ী অব্যাহতি ও ভাতাসমূহ :

➡️উপযুক্ত ও উপধারায় বলা হয়, এই অধ্যাদেশের বিধানাবলির শর্তে এবং ষষ্ঠ তফসিলের‘খ’ অংশে বর্ণিত সীমা শর্ত ও যােগ্যতায়—

🔴 ‘খ’ অংশের ১৫ ও ১৬ অনুচ্ছেদে উল্লিখিত কোনাে আয় বা কোনাে অংকের উপর
করদাতাকে কোনাে কর দিতে হবে না।

🔴‘খ’ অংশের ১৫ ও ১৬ অনুচ্ছেদ উল্লিখিত পরিমাণ ছাড়া অন্যান্য সকল অনুচ্ছেদ
উল্লিখিত মােট আয়ের পরিমাণের উপর ১৫% এর সমপরিমাণ টাকা কর দাতা জমা করতে অধিকারী হবেন।

⭕ষষ্ঠ তফসিলের ‘খ’ অংশের ১৫ ও ১৬ অনুচ্ছেদ ছাড়া অনুচ্ছেদ অনুসারে প্রদেয় ভাতার হার-

🔹দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা অতিক্রম করবে না।

🔸 (অর্থ আইন ২০০৬ দ্বারা বাদ দেয়া হয়েছে| তবে শর্ত এই যে, (ক) দফা অনুসারে
প্রদেয় পরিমাণ কোনাে অবস্থাতেই কর দাতার মােট আয়ের ২০% অতিক্রম করবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *