➡️ট্রেড ইউনিয়ন :

🔹বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ এর ধারা ২(১৫) অনুযায়ী ত্রয়ােদশ অধ্যায়ের অধীনে গঠিত ও রেজিস্ট্রিকৃত শ্রমিকগণের বা মালিকগণের ট্রেড ইউনিয়ন এবং কোনাে ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনও এর অন্তর্ভুক্ত হবে।

🔹ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধনের জন্য প্রয়ােজনীয় শর্তাবলি :

➡️বাংলাদেশ শ্রম আইন,২০০৬ এর ১৭৯ ধারা অনুযায়ী,কোনাে ট্রেড ইউনিয়ন রেজিস্ট্রিকরণের অধিকারী হবে না, যদি না উহার গঠনতন্ত্রে নিম্নলিখিত বিষয়াদির বিধান থাকে।যথা :

🔹ট্রেড ইউনিয়নের নাম ও ঠিকানা;

🔹 ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের উদ্দেশ্য।

🔹 কোনাে শ্রমিকের ট্রেড ইউনিয়নের সদস্য হওয়ার পদ্মা, এবং, এতে কোনাে শুনিক উহার গঠনতন্ত্রে প্রদর্শিত ফরমে “তিনি অন্য কোন্যে ট্রেড ইউনিয়ঢ়ের সদস্য নতুন
এই মর্মে ঘােষণা দিয়া দরখাস্ত না করলে এর সদস্য হতে পারবেন না এই মরে
স্পষ্ট বিধান।

🔹ট্রেড ইউনিয়নের তহবিলের উত্স এবং উক্ত তহবিল কি উদ্দেশ্যে ব্যবত বে তার বর্ণনা।

🔹ট্রেড ইউনিয়নের গঠনতন্ত্র কর্তৃক নিশ্চিত কোনো সুবিধ্য কোনাে সদস্য কর্তৃক
পাওয়ার অধিকারী হওয়ার জন্য শর্ত এবং কোনাে সদস্যের উপর জরিমানা অথবা বাজেয়াপ্তির আদেশ প্রদানের শর্ত।

🔹ট্রেড ইউনিয়নের সদস্যগণের তালিকা সংরক্ষণ এবং উহার কর্মকর্তা ও সদস্য কর্তৃক উহা পরিদর্শনের পর্যাপ্ত সুবিধা।

🔹গঠনতন্ত্রের পরিবর্তন, সংশােধন ও বাতিলের পচ্ছ।

🔹ট্রেড ইউনিয়ন তহবিলের নিরাপদ হেফাজত, উহার বাৎসরিক নিরীক্ষা, নিরীক্ষার
পন্থা, এবং ট্রেড ইউনিয়নের কর্মকর্তা ও উহার সদস্য কর্তৃক উহার হিসাৰ বই,পরিদর্শনের পর্যাপ্ত সুবিধা।

🔹 ট্রেড ইউনিয়ন অবলুপ্তির পন্থা।

🔹ট্রেড ইউনিয়নের সাধারণ সদস্যগণ কর্তৃক এর কর্মকর্তা নির্বাচনের পন্থা, এবং
কর্মকর্তাগণের কার্যকালের মেয়াদ যা কোনাে ক্ষেত্রেই দুই বছরের বেশি হবে না।

🔹কর্মকর্তাগণের সংখ্যা যাহা বিধি দ্বারা নির্ধারিত পাঁচজনের কম এবং পঁয়ত্রিশ জনের বেশি হবে না।

🔹 ট্রেড ইউনিয়নের কর্মকর্তাগণের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রকাশের পদ্ধতি; এবং

🔹ট্রেড ইউনিয়নের নির্বাহী কমিটি এবং সাধারণ সদস্যগণের সভা আহবান, যাহা নির্বাহী কমিটির ক্ষেত্রে প্রতি তিন মাসে অন্তত একবার এবং সাধারণ সদস্যগণের ক্ষেত্রে প্রতি বৎসরে অন্তত একবার হতে হবে।

🔹শ্রমিকগণের কোনাে ট্রেড ইউনিয়ন এই অধ্যায়ের অধীন রেজিস্ট্রিকরণের অধিকারী হবে।

➡️যদি না যে প্রতিষ্ঠানে উহা গঠিত হয়েছে, সে প্রতিষ্ঠানে নিযুক্ত শ্রমিকগণের মােট সংখ্যার অন্ন শতকরা ত্রিশভাগ শ্রমিক উহার সদস্য হন :

➡️তবে শর্ত থাকে যে, একই মালিকের অধীন একাধিক প্রতিষ্ঠান যদি একই শিল্প
পরিচালনার উদ্দেশ্যে একে অপরের সহিত সংশ্লিষ্ট ও সম্পর্কযুক্ত হয়, তাহলে এরা যেখানেই স্থাপিত হউক না কেন এই উপধারার উদ্দেশ্যে একটি প্রতিষ্ঠান বলে গণ্য হবে।

➡️যে ক্ষেত্রে কোনাে দুই বা ততােধিক প্রতিষ্ঠান একই মালিকের অধীন কিনা, অথবা একই শিল্প পরিচালনার উদ্দেশ্যে তারা পরস্পর সংশ্লিষ্ট ও সম্পর্কযুক্ত কিনা-এইরূপ কোনাে সন্দেহ বা বিরােধ দেখা দেয় সে ক্ষেত্রে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য শ্রম পরিচালকের নিকট প্রেরণ করা যাবে ।

➡️শ্রম পরিচালক কর্তৃক প্রদত্ত কোনাে সিদ্ধান্তের দ্বারা কোনাে ব্যক্তি সংক্ষুব্ধ হলে তিনি সিদ্ধান্ত প্রদানের তারিখ হতে ত্রিশ দিনের মধ্যে উহার বিরুদ্ধে শ্রম আদালতে আপিল করতে পারবেন, এবং এই বিষয়ে শ্রম আদালতের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে।

🔹কোনাে প্রতিষ্ঠানে অথবা প্রতিষ্ঠান পুড়ে কোনাে সময়ে তিনটির অধিক রেজিস্ট্রিকৃত ট্রেড ইউনিয়ন থাকবে না।

➡️খ) কোন চা-বাগান, দোকান বা বাণিজ্য অথবা শিল্প প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে, ষাট দিন হয়।

➡️(৬)উপ-ধারা (৪) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোন অপ্রাপ্ত বয়স্ক শ্রমিকের এই
ধারার অধীন ছুটি পাওনা বন্ধ হয়ে যাবে যখন তার পাওনা অর্জিত ছুটি—

🔴কোন কারখানা অথবা চা-বাগানের ক্ষেত্রে, ষাট দিন হয়;

➡️ কোন দোকান বা বাণিজ্য অথবা শিল্প প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে, আশি দিন হয়।

🟣কোন শ্রমিক অর্জিত ছুটির জন্য দরখাস্ত করলে যদি মালিক কোন কারণে উহা না-
মঞ্জুর করেন, তা হলে উক্ত না-মঞ্জুরকৃত ছুটি সংশ্লিষ্ট শ্রমিকের হিসাবে উপ-ধারা (৫)।

🔹এ উল্লিখিত সীমার অতিরিক্ত পাওনা হিসাবে যুক্ত হবে।

🔸এই ধারা প্রয়ােজনে, কোন শ্রমিক কোন প্রতিষ্ঠানে অবিচ্ছিন্নভাবে কোন সময়ের জন্য।

➡️কাজ সম্পূর্ণ করেছেন বলে গণ্য হবেন যদিও বা উক্ত সময়ে নিম্নলিখিত কারণে তার কাজ
ব্যাহত হয়ে থাকে, যথা:

🔸কোন বন্ধের দিন।

🔸 কোন মজুরীসহ ছুটি;

🔸 পীড়া বা দুর্ঘটনার কারণে মজুরীসহ বা মজুরী ছাড়া কোন ছুটি;

🔹অনধিক ষােল সপ্তাহ পর্যন্ত প্রসূতি ছুটি,কোন লে-অফ;

🔹আইন সম্মত কোন ধর্মঘট বা বে-আইনী কোন লক-আউট।

🔹উৎসব ছুটি :শ্রম আইন ২০০৬ এর ১১৮ ধারামতে,

⚫ প্রত্যেক শ্রমিককে প্রতি পঞ্জিকা বৎসরে এগার দিনের মজুরীসহ উৎসব ছুটি মঞ্জুর
করতে হবে।

🟣 বিধি দ্বারা নির্ধারিতভাবে মালিক উক্ত ছুটির দিন ও তারিখ স্থির করবেন।

🔴কোন শ্রমিককে কোন উৎসব ছুটির দিনে কাজ করতে বলা যাইতে পারবে, তবে এর জন্য তাকে ধারা ১০৩ এর বিধান অনুযায়ী দুই দিনের মজুরীসহ ক্ষতিপূরণ ছুটি এবং একটি বিকল্প ছুটি মঞ্জুর করতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *