🔸অবশিষ্টাংশ ভােগী : অংশীদারদের নিদিষ্ট অংশ বণ্টনের পর রক্তসম্পর্কিত কতিপয় ব্যক্তির মধ্যে অবশিষ্ট সম্পত্তি বণ্টন করা হয়।
➡️ কোরআনিক উত্তরাধিকারীগণের মধ্যে
বন্টন করার পর কোনাে সম্পত্তি অবশিষ্ট থাকলে এরা পেয়ে থাকে। তাই এদেরকে অবশিষ্ট ভােগী বলা হয়। প্রকৃতপক্ষে এরাই সিংহভাগ পেয়ে থাকেন।
🔴অবশিষ্টাংশ ভােগীর তালিকা : অবশিষ্ট ভােগীদের উত্তরাধিকারের ক্রমানুসারে নিমােক্ত ভাবে শ্রেণিবিন্যাস করা যায় :
🔸 অধস্তন পুরুষগণ;
🔸উধ্বর্তন পুরুষগণ;
🔸পিতার অধস্তন পুরুষগণ;
🔸 পিতামহের অধস্তন পুরুষগণ
➡️অধস্তন পুরুষ :
🔹পুত্র;
🔹পুত্রের পুত্র যতই নিম্নগামী হােক
➡️ উর্ধ্বতন পুরুষ :
🔹পিতা
🔹 পিতার পিতা যতই উর্ধ্বগামী হােক
➡️ পিতার অধস্তন পুরুষ :
🔸 আপন ভাই
🔸 আপন বােন
🔸বৈমাত্রেয় ভাই
🔸বৈমাত্রেয় বােন
🔸 আপন ভাই-এর পুত্র
🔸বৈমাত্রেয় ভাই-এর পুত্র
🔸 আপন ভাই-এর পুত্রের পুত্র
🔸 বৈমাত্রেয় ভাই-এর পুত্রের পুত্র
🔸পিতামহের অধঃস্তন পুরুষ
🔸আপন চাচা
🔸বৈমাত্রেয় চাচা
🔸আপন চাচার পুত্র
🔸বৈমাত্রেয় চাচার পুত্র
🔸আপন চাচার পুত্রের পুত্র
🔸 বৈমাত্রেয় চাচার পুত্রের পুত্র
🔸একজন উত্তরাধিকারী কর্তৃক তার অংশ উদ্ধারে মামলা দায়েরে সময়সীমা
১৯৫৫ সালে লাহাের হাইকোর্ট এই মর্মে রায় প্রদান করেন যে, মৃতের সম্পত্তির অংশ
চেয়ে একজন উত্তরাধিকারী অপর সহ-উত্তরাধিকারীর বিরুদ্ধে মামলা করলে তা তামাদি।
🔸আইনের ১২০ অনুচ্ছেদের আওতায় পড়বে [১৯৫৫ পি. এল. আর. লাহাের, ৯৩৪।
➡️উক্ত অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে, যে মামলার তামাদির মেয়াদ সম্পর্কে অত্র তফসিলের অন্য কোথাও বিধান নেই সেই মামলার মেয়াদ অধিকার সৃষ্টি হবার সময় হতে ৬ বছর। অতএব মালিকের মৃত্যুর পর হতে ৬ বছরের মধ্যে একজন উত্তরাধিকারী তার অংশ উদ্ধারের জন্য মামলা করতে হবে।