➡️আয়কর রিটার্ন দাখিল :
⭕আয়কর অধ্যাদেশের ৭৫ ধারা অনুযায়ী নির্ধারিত ফরম এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে করদাতা আয়কর রিটার্ন দাখিল করবেন। এটা মূলত দু প্রকারের ৮৩ ধারা অনুযায়ী সাধারণ পদ্ধতি এবং ৮৩ এ ধারা অনুযায়ী সার্বজনীন স্ব-
নির্ধারণী পদ্ধতি।
🔹সাধারণ পদ্ধতির ক্ষেত্রে কর নিরূপণ :
🔸করদাতা যে আয়ের বিবরণী দাখিল করেছেন তা যদি উপকর কমিশনার নির্ভুল ও সম্পূর্ণ
বলে মনে না করেন তাহলে তিনি বিবরণীর ভুল-ত্রুটি সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করে করদাতাকে
ননাটিশ দিবেন। করদাতা নির্ধারিত দিনে উপস্থিত হয়ে তার বক্তব্য পেশ করবেন বা দলিলপত্র
উপস্থাপন করবেন।
🔸 এভাবে শুনানি শেষে ৪০ দিনের মধ্যে উপকর কমিশনার করদাতাকে তার
কর নির্ধারণ সংক্রান্ত আদেশ জানিয়ে দিবেন।
স্ব-নির্ধারণী পদ্ধতিতে দাখিলকৃত রিটার্নের ক্ষেত্রে কর নিরূপণ :
▪️দাখিলকৃত রিটার্নের সময়সীমা বৃদ্ধি :
➡️আয়কর অধ্যাদশের ৭৫(৩) ধারা অনুযায়ী উপকর কমিশনার রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা
৩ মাস পর্যন্ত বৃদ্ধি করতে পারেন।
⭕ এর অতিরিক্ত সময় বৃদ্ধির প্রয়ােজন হলে পরিদর্শী যুগ্ম কমিশনারের অনুমােদন নিতে হবে।
স্পট এসেসমেন্ট :
🔸কতিপয় ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বা পেশাজীবীর উপর তাদের ব্যবসায় বা পেশার স্থান
পরিদর্শন করে ৮২ (ডি) ধারায় কর নির্ধারণের বিধান করা হয়েছে। বিধি ৩৮ বি তে কর
নির্ধারণের পদ্ধতি বর্ণনা করা হয়েছে।
🔹সিটি কর্পোরেশনের একটা নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত
এলাকায়।
এবং
🔹বিভাগীয় বা জেলা শহরে পৌরসভার একটা নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত এলাকায়।স্পটে কর নির্ধারণ করা হয়। যাদের ব্যবসায় বা পেশা খাতে আয় থাকা সত্ত্বেও আয়কর নথি নেই সংশ্লিষ্ট উপকর কমিশনার উল্লিখিত এলাকায় গিয়ে তাদের শনাক্ত করবেন।
⭕কত মূলধন বিনিয়ােগ করা হয়েছে, ব্যবসায়ের এলাকা কর নির্ধারণের ক্ষেত্রে বিবেচনা করা হয়। প্রারম্ভিক মূলধন ১০ লাখ টাকার বেশি হলে এই ধারা প্রয়ােগ করা হবে না।
🔸পরিদর্শী যুগ্ম কমিশনার বা অতিরিক্ত কমিশনারের অনুমােদনক্রমে উপকর কমিশনার উল্লিখিত এলাকায় ব্যবসায় বা পেশা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করে নির্ধারিত হারে কর নির্ধারণ ও চালান ইস্যু করবেন।