আইন অনুযায়ী বিচারঃ
⭕আধুনিক সমাজে প্রতিটি রাষ্ট্রের আইন প্রণয়নের সংস্থা রয়েছে এবং প্রণীত আইন প্রয়ােগ করার জন্য বিচার বিভাগ রয়েছে। বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে এই আইন বিশ্লেষণ ও
প্রয়ােগ করে থাকেন।
🟠নির্দিষ্ট আইনের অবর্তমানে বিচারকগণ স্বীয় বুদ্ধি-বিবেচনা দ্বারা
বিচারকার্য সম্পন্ন করে থাকেন।
⚫তবে ব্যক্তিবিশেষের বিচার-বুদ্ধি ও বিবেচনার উপর নির্ভর
করে বিচারকার্য সম্পন্ন করলে তা প্রশ্নাতীত হয় না এবং যেহেতু সকল বিচারকের বিচার-বুদ্ধি ও বিবেচনা এক নয় তাই বিচারপ্রার্থীরাও সকল ক্ষেত্রে ন্যায়বিচার পায় না। তাই যতদূর সম্ভব
সকল ক্ষেত্রে বিস্তৃত বিধিমালা প্রণয়ন করা বাঞ্ছনীয়।
🔴যে ক্ষেত্রে একান্তই বিচারকের সুবিবেচনা
প্রয়ােগ করতে হয়, সেক্ষেত্রে ন্যায়বিচারের স্বার্থে কিছু নীতিমালা অনুসরণ করতে হয়।
🔵এইভাবে ইংল্যান্ডে চ্যালারি আদালতের গঠন হয় এবং ন্যায়পরতা বা ইকুইটির নীতিমালার
সৃষ্টি হয়। বর্তমান যুগে যদিও নির্দিষ্ট ও নির্ধারিত বিধির অস্তিত্ব আইন অনুসারে বিচার প্রতিষ্ঠার
পূর্বশর্ত, তবুও বিচারকের স্বেচ্ছাধীন ক্ষমতায় ন্যায়পরায়ণতাভিত্তিক আচরণকে অস্বীকার করা
যায় না। উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে যে, ফৌজদারি অপরাধের ক্ষেত্রে আসামীকে জামিনে
মুক্তি দিবার বিষয়টি বিচারকের স্বেচ্ছাধীন ক্ষমতাভুক্ত। কিন্তু এ ক্ষমতা প্রয়ােগকালে যদি
কোনাে নীতি বা বিধি অনুসরণ না করা হয় তবে স্বেচ্ছাধীন ক্ষমতা স্বেচ্ছাচারে পরিণত হবে।
এবং বিচারপ্রার্থীরা বিচারকের নিকট হতে সমান আচরণ পাবে না। ফলে তাদের মধ্যে হতাশার
সৃষ্টি হবে এবং সমাজে ন্যায় প্রতিষ্ঠায় বিঘ্নের সৃষ্টি হবে। তাই আইন অনুযায়ী বিচার বলতে শুধু
নির্দিষ্ট ও লিখিত আইনের প্রয়ােগ বুঝায় না, বিচারকের স্বীয় বুদ্ধিমত্তা প্রয়ােগের ক্ষেত্রেও নির্দিষ্ট
নীতিমালার অনুসরণ বুঝায়। আদালতের সকল বিচারকার্যই আইন অনুসারে হতে হবে—
এটাই হচ্ছে আইন অনুযায়ী বিচারের মূল কথা।
🟣আইন অনুসারে বিচার প্রশাসনের সুবিধা ও অসুবিধা : আইন অনুযায়ী বিচারের প্রধান
সুবিধা হচ্ছে যে, এক্ষেত্রে বিচারকের স্বাধীনতা সীমিত। আইনের বিধান অনুসারে তাঁকে কাজ
করতে হয় বিধায় স্বেচ্ছাধীন ক্ষমতা প্রয়ােগ করা যা পরবর্তীকালে স্বেচ্ছাচারে পরিণত হতে
পারে— তার সুযােগ সেরূপ থাকে না।
🟢এছাড়া বিচার প্রার্থীগণও আইনের বিধান দেখে তাদের
অবস্থান বুঝতে পারে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হলে আইন অনুযায়ী বিচার
প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। কিন্তু এর কিছু বাস্তব অসুবিধা রয়েছে। সমাজে বসবাসকারী মানুষের
বিচিত্র কর্মকাণ্ডের মধ্যে অনেক বিচিত্র ও নতুন সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। যার বিধান প্রচলিত।
আইনের মধ্যে না-ও থাকতে পারে। এক্ষেত্রে বিচারককে যদি আইনের গতির মধ্যে সীমাবদ্ধ
রাখা হয় তবে বিচারপ্রার্থীরা ন্যায়বিচার হতে বঞ্চিত হতে পারে। এ সকল কারণে ইংল্যান্ডে।
⚪কমন ল’ এর পাশাপাশি ইকুইটির উদ্ভব হয়েছিল। অনেক ক্ষেত্রে কোনাে অপরাধ সম্পর্কে
বিচারকের বাস্তব জ্ঞান থাকলেও আইনের সীমাবদ্ধতার কারণে তাকে সাক্ষ্য প্রমাণ দ্বারা।
বিচারকার্য সমাধা করতে হয় অর্থাৎ আইনের আনুষ্ঠানিকতার মধ্যেই তাকে চলতে হয়। পর্যাপ্ত
সাক্ষ্য প্রমাণ দ্বারা প্রতিষ্ঠিত না হলে বিচারকের ব্যক্তিগত জ্ঞান থাকা সত্ত্বেও সে মর্মে রায় দিতে
পারেন না।
➡️দেওয়ানি বিচার ও ফৌজদারি বিচারের মধ্যে পার্থক্য:
➡️ ব্যক্তিগত অধিকার কিংবা আইনগত স্বত্ব নিয়ে বিরােধ দেখা দিলে দেওয়ানি বিচারের
মাধ্যমে অধিকার পুনর্বহাল করা হয়।
➡️অপরদিকে, গণ-অধিকার ক্ষুন্ন করে সামাজিক শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘ্ন করা হলে কিংবা
ফৌজদারি দণ্ডবিধিতে বর্ণিত অপরাধগুলি সংঘটিত করলে ফৌজদারি বিচারের মাধ্যমে।
অপরাধীকে শাস্তি প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়।
➡️দেওয়ানি বিচার ব্যবস্থা দেওয়ানি কার্যাবধি মােতাবেক পরিচালিত হয়। কিন্তু,
ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থা ফৌজদারি কার্যবিধি মােতাবেক পরিচালিত হয়।
➡️দাওয়ানি বিচার দ্বারা কেবল ব্যক্তিবিশেষের অর্থাৎ ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির স্বার্থ সংরক্ষিত
হয়।
🔸অপরপক্ষে, ফৌজদারি বিচার দ্বারা ব্যক্তিসাধারণের স্বার্থ সংরক্ষিত হয় অর্থাৎ সামাজিক
শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হয়।
➡️দেওয়ানি বিচারের ক্ষেত্রে অধিকার বলকরণ, সম্পত্তি প্রত্যর্পণ, সুনির্দিষ্ট
কার্যসম্পাদন, নিষেধাজ্ঞা বা আর্থিক ক্ষতিপূরণ দ্বারা প্রতিকারের ব্যবস্থা করা হয়।
🔸পক্ষান্তরে, ফৌজদারি বিচারে অপরাধের প্রকৃতি ও গুরুত্ব অনুসারে কারাদণ্ড, জরিমানা,
মৃত্যুদণ্ড ইত্যাদি ধরনের শান্তি প্রদানের মাধ্যমে প্রতিকার দেয়া হয়।
➡️ দেওয়ানি বিচার দেওয়ানি আদালতে সম্পন্ন হয়। ফৌজদারি বিচার কেবলমাত্র
ফৌজদারি আদালতে সম্পন্ন হয়।
➡️দেওয়ানি আদালতের সর্বনিম্ন পর্যায়ের আদালতের নাম মুন্সেফ আদালত বা সহকারী
জজ আদালত।
🔸মামলা আনয়নকারীকে বাদী ও বিরুদ্ধ পক্ষকে বিবাদী বা প্রতিপক্ষ বলে
🔸ফৌজদারি আদালতের সর্বনিম্ন পর্যায়ের আদালতের নাম ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। মামলা
আনয়নকারী পক্ষকে বাদী পক্ষ বা অভিযােগকারী এবং অপর পক্ষকে আসামী বলে ।
➡️দেওয়ানি বিচারের ক্ষেত্রে একমাত্র ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষ স্বয়ং মামলা দায়ের করে।
ফৌজদারি বিচারের ক্ষেত্রে সরকার বা ক্ষেত্রবিশেষে স্বয়ং ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষ মামলা দায়ের করে।
➡️দেওয়ানি বিচারের ক্ষেত্রে বাদীকে সাক্ষী হিসেবে গণ্য করা হয় না, কিন্তু ফৌজদারি
বিচারের ক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষকেও সাক্ষী হিসেবে গণ্য করা হয়।
➡️দেওয়ানি বিচারে বাদীকে এবং ক্ষেত্রবিশেষে বিবাদীকে তার দাবি প্রমাণ করতে হয়।
কিন্তু ফৌজদারি বিচারে একমাত্র বাদীকে প্রমাণের ভার বহন করতে হয়।
➡️দেওয়ানি বিচারে বাদীকে তার দাবি প্রতিষ্ঠিত করার জন্য সন্দেহাতীতভাবে
প্রমাণের কোনাে আবশ্যকতা নেই, কিন্তু ফৌজদারি বিচারের ক্ষেত্রে আসামীকে শাস্তি প্রদানের
ক্ষেত্রে বাদীপক্ষকে তার অভিযােগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে হবে। এক্ষেত্রে সামান্য
সন্দেহের অবকাশ থাকলে আসামীকে শাস্তি দেয়া যায় না।
🔸এভাবে দেওয়ানি ও ফৌজদারি বিচারের ক্ষেত্রে পার্থক্য নিরূপণ করা হয়।
➡️দেওয়ানি বিচার প্রশাসনের দুর্বলতা :
⚪দেওয়ানি বিচার ব্যবস্থায় বাদীর উদ্যোগ ও দক্ষতা বেশি প্রয়ােজন। গ্রাম বাংলার
অধিকাংশ লােকই এ বিষয়ে অদক্ষ বা পর্যাপ্ত শিক্ষিত নয়।
🔸সে সুযােগে কিছু সংখ্যক টাউট তাদের শােষণ করে।
➡️ এ সকল টাউট তাদের পছন্দমতাে আইনজীবীদের নিকট এদেরকে নিয়ে
যায় এবং আইনজীবীগণ এদের নিকট হতে দলিলপত্র ও অন্যান্য প্রয়ােজনীয় কাগজপত্র নিয়ে
নেয় এবং দিনের পর দিন ঘুরাতে থাকে।
🔸অনেক অসাধু আইনজীবী এ সকল বিচার
প্রার্থীদেরকে নানাভাবে শােষণ করতে থাকে। আদালতও তাদের ইঙ্গিতে বছরের পর বছর।
➡️মামলাগুলি ঝুলিয়ে রাখে। এছাড়া বিচার পদ্ধতিও বেশ জটিল। দীর্ঘসূত্রিতা দেওয়ানি বিচার প্রশাসনের মূল দুর্বলতা।
🔸দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর আদালতের ডিক্রি পেলেও তা বাস্তবায়নের জন্য
আবার ডিক্রি কার্যকরণের মামলা করতে হয়।
🔸এই দীর্ঘ সময়ের মধ্যে বিবাদী নালিশী সম্পত্তির
অনেক ক্ষতি সাধন করে থাকে। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে বিচার পদ্ধতি সহজ করা প্রয়ােজন।
🔸বিচারকের সংখ্যাও বৃদ্ধি করতে হবে। কমিশনের মাধ্যমে নালিশী সম্পত্তি
সরেজমীনে পরিদর্শন ও ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে সাক্ষ্য প্রমাণের বিড়ম্বনা হতে পরিত্রাণ পাওয়া
যায়, কেননা আদালতে গিয়ে সাক্ষ্য দিতে অনেক ব্যক্তি অনীহা প্রকাশ করে। দরিদ্র ব্যক্তিরা রাজি হয় বটে।
🔸 কিন্তু তার বিনিময়ে অর্থ দাবি করে। তাই প্রকৃত সাক্ষীদেরকে আদালতে নিয়ে।
🔸যাওয়া বাদীর জন্য অনেক ক্ষেত্রে সমস্যা হয়ে পড়ে। কমিশনের মাধ্যমে পরির্দশন ও সাক্ষ্য।
⚪গ্রহণের ব্যবস্থা করলে এটা অনেক সহজ হয়। এছাড়া এ.ডি.আর বা বিকল্প বিবাদ নিষ্পত্তি
পদ্ধতিতে আদালতের বাইরে আপস বা মধ্যস্থতার মাধ্যমে দেওয়ানি বিচার নিষ্পত্তির ব্যবস্থা
করতে পারলে অতি অল্প সময়ের মধ্যে এবং অল্প খরচের মধ্যে তা সম্পন্ন করা যায়। এছাড়।
➡️বিবদমান পক্ষগণের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় থাকে।
🔴ফৌজদারি বিচার প্রশাসনের দুর্বলতা :
ফৌজদারি বিচার প্রশাসনের ক্ষেত্রে নালিশী মামলা ছাড়া অন্যান্য মামলায় পুলিশের
ভূমিকা বেশি থাকে।
➡️ আই.ও বা তদন্তকারী কর্মকর্তার সদিচ্ছা ও তৎপরতার উপর এরুপ
বিচারের পরিণতি অনেকটা নির্ভর করে।
🔴সাক্ষীরা আদালতে সাক্ষ্য দিতে আসাটা অযথা
বিড়ম্বনা বা হয়রানি মনে করে। তাই অনেক ক্ষেত্রেই শুধু সাক্ষ্যের অভাবে প্রকৃত অপরাধীর
শাস্তি হয় না বরং বিচারপ্রার্থী ন্যায়বিচার হতে বঞ্চিত হয়। পুলিশের নিকট ১৬১ ধারায় প্রদত্ত
সাক্ষ্য গ্রহণযােগ্য হয় না কিন্তু ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট ১৬৪ ধারায় প্রদত্ত সাক্ষ্য গ্রহণযােগ্য।
তাই ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট প্রদত্ত বক্তব্য আর পুলিশের নিকট বক্তব্য এক না হলে আড়ালে
পুলিশের হেফাজতে নিয়ে আসামীর উপর পুলিশ অত্যাচার চালায়।
➡️এ অত্যাচারে কোনাে
কোনাে সময় অপরাধ না করেও অপরাধ স্বীকার করে শুধু অত্যাচার থেকে সাময়িকভাবে
পরিত্রাণ পাবার জন্য।
➡️এরূপ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন প্রয়ােজন। একবিংশ শতাব্দীতে বিজ্ঞান
ও প্রযুক্তির বিস্ময়কর উন্নতিতে প্রকৃত অপরাধীতে ধরা খুব কঠিন নয়। এজন্য পদ্ধতিগত
আইনকে সংশােধন করে যুগােপযােগী করতে হবে।
➡️আইনকে সংশোধন করে যুগােপযােগী করতে হবে।
আদালতের আইন অনুযায়ী বিচার করার দায়িত্ব আইনানুগ না নৈতিক :
➡️আদালত আইন দ্বারা সৃষ্ট এবং আইনের বিধান দ্বারা পরিচালিত। আদালতের আইন
অনুযায়ী বিচার করার দায়িত্ব আইনানুগ।
🔴আইন ও নৈতিকতার মধ্যে যথেষ্ট পার্থক্য বিদ্যমান।
আইন ও নৈতিকতার মধ্যে সম্পর্ক এমন নিবিড় যে, অনেক ক্ষেত্রেই একটিকে অপরটি
হতে পৃথক করা যায় না এবং তারা প্রায়ই পাশাপাশি চলে।
➡️ এতদসত্ত্বেও এদের মধ্যে
উল্লেখযােগ্য পার্থক্যগুলি নিম্নরূপ :
🔴আইন হচ্ছে সামাজিক জীব হিসেবে মানুষের বাহ্যিক আচরণের নিয়ন্ত্রণবিধি।
নৈতিকতা হচ্ছে মানুষ হিসেবে আচরণের আদর্শ।
➡️সামাজিক মূল্যবােধই হচ্ছে আইনের দিক নির্দেশনার ভিত্তি। অন্যের অধিকারে
হস্তক্ষেপ করা বা অন্যের ক্ষতি না করা কিংবা প্রণীত আইন লঙ্ঘন না করা আইনের নির্দেশ, যা
সামাজিক মূল্যবােধ হতে উদ্ভূত।
🔴পক্ষান্তরে, নৈতিক মূল্যবোেধই হচ্ছে নৈতিক আদর্শের দিক নির্দেশনা, যা নীতিবােধ বা
আদর্শ হতে উদ্ভূত। অন্যের ক্ষতি না করে বরং উপকার করা নৈতিকতার নির্দেশ।
➡️দেশের ও জনগণের মঙ্গল ও শান্তি প্রতিষ্ঠা হচ্ছে আইনের লক্ষ্য; কিন্তু নৈতিকতা
মূলত বিবেক-প্রসূত যুক্তি ও আবেগ, যার লক্ষ্য বন্ধুত্ব ও সৌহার্দ স্থাপন।
➡️রাষ্ট্র কর্তৃক আইন বলবৎ করা হয়। তাই এক্ষেত্রে শক্তি প্রয়ােগ করা হয় এবং আইন
ভঙ্গকারীকে শাস্তি পেতে হয়।
অপরদিকে, মানুষের বিবেক বা বিবেকের তাগিদই নৈতিক মূল্যবােধ প্রতিষ্ঠিত করে ।
সেখানে বলপ্রয়ােগ বা শাস্তির ব্যবস্থা নেই।
➡️অধিকার, কর্তব্য ও প্রায়ােগিক শক্তির প্রাধান্য আইনের অপরিহার্য উপসন হিরণে কাজ করে।
➡️কিন্তু নৈতিকতার উপাদানগুলি হচ্ছে, সততা, সদাচার, ন্যায়পরায়ণতা, পরোপনের
ইত্যাদি।
➡️আইন মূলত আইনসভা কর্তৃক প্রণীত হয়ে থাকে এবং প্রয়োজনবােধে পরিবর্তন রাে
হয়ে থাকে।
➡️কিন্তু নৈতিকতা যেহেতু মানুষের আদর্শভিত্তিক এবং বিবেক নির্দেশিত বাহ; ইহা
আইন প্রণয়নের মাধ্যমে সৃষ্টি করা যায় না বা পরিবর্তন করা যায় না।
➡️আইন যেহেতু সামাজিক মূল্যবােধের প্রতি লক্ষ রেখে রাষ্ট্রের একটি অঙ্গ তে
প্রণীত হয়ে থাকে এবং অপর অঙ্গ কর্তৃক বলবৎ করা হয় সেহেতু বিভিন্ন দেশের আইন বিভিন্ন হতে পারে।
➡️কিন্তু নৈতিকত যেহেতু নৈতিক মূল্যবােধ হতে উদ্ভূত, সকল দেশেই ই
মােটামুটি একই ধরনের বা মানের হয়ে থাকে।
➡️আইনগত বিরােধগুলি আদালত কর্তৃক আইনের বিধান অনুসারে নিষ্পত্তি হয়ে থাকে,
🔴কিন্তু, নৈতিকতার মাঝে সাধারণত কোনাে বিরােধ থাকে না এবং আইনগত ভিওি ব্যতিরেকে
এককভাবে নৈতিক আইন ভঙ্গ করলে তা আদালত কর্তৃক মীমাংসাযােগ্য নয়।